Help Bangla

Blogs in Bangali

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক চর্চার নয়া উদারনীতিবাদী তত্ত্বের সারবস্তুর উপর একটি টীকা লেখ।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক চর্চার নয়া উদারনীতিবাদী তত্ত্বের সারবস্তুর উপর একটি টীকা লেখ।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক চর্চার নয়া উদারনীতিবাদী তত্ত্বের সারবস্তুর উপর একটি টীকা লেখ।

একটি স্বতন্ত্র পাঠাবিষয় হিসাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সূত্রপাত প্রধানত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের (১৯১৪-১৮) পর থেকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপক ধ্বংসলীলার পুনরাবৃত্তি রোধে বিশ্বের। শান্তিকামী মানুষদের মধ্যে যে প্রচেষ্টা শুরু হয়, তার মধ্যেই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অঙ্কুরোদগম হয়।

তবে একটি পাঠ্যা থয় হিসাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সূত্রপাত বিশ শতকের গোড়ার দিকে হলেও, এর মূল বিষয়গুলির আলোচনা বহুকাল আগে থেকে শুরু। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে চৈনিক দার্শনিক মেনসিয়াস (Mencius), ৩২৫-২৯৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের প্রধানমন্ত্রী কৌটিলা, পঞ্চদশ শতাব্দীর ইতালীয় রাষ্ট্রদার্শনিক মেকিয়াভেলি আন্তরাষ্ট্র সম্পর্কের বিষয়ে অনেক কিছু লিখে যান। তবে যোগাযোগের অভাব, বহিবাণিজ্যের সীমিত প্রসার ইত্যাদি কারণে তখনকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক আলোচনা আঞ্চলিক ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকত। তাছাড়া ঐসব লেখকের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজা শাসন বিষয়ে নীতি নির্ধারণকারীদের কার্যকর পরামর্শ দেওয়া, কোনো তাত্ত্বিক কাঠামোর ভিত্তি স্থাপন করা নয়। আঠারো ও উনিশ শতকের ইউরোপে কূটনৈতিক আত্মজীবনী, সামরিক চিন্তাভাবনা ও কলাকৌশলের ওপর আলোচনা এবং আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ক রচনার সম্প্রসারণ ঘটেছিল। কিছু লেখক রাষ্ট্রের বাহ্যিক আচার-আচরণ নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করেন, তবে ক্ষমতার ভারসাম্য (Balance of Power)-কেই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সর্বশ্রেষ্ঠ নীতিরূপে গ্রহণ করা হয়। আন্তর্জাতিক বিষয়ে সুসংবদ্ধ আলোচনার সূত্রপাত হয় বিশ শতক থেকেই (“It was not until the twentieth century that attempts at systematic analysis appeared”.< /p>

-K. J. Holsti)! বিশ শতকের গোড়ার দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এশীয় ও ইউরোপীয় রাজনীতিতে বেশি মাত্রায় জড়িয়ে পড়তে থাকলে একদল মার্কিন লেখক আন্তর্জাতিক সমস্যা বিষয়ে গভীরভাবে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ১৯০০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. পল রেইনসূচ ( Reinsch) ‘World Politics at the End of the Nineteenth Century’ শীর্ষক যে প্রশ্নটি রচনা করেন তাতে জাতীয়তাবাদ, জাতীয় সাম্রাজ্যবাদ, জার্মান সাম্রাজ্যের রাজনীতি, চিনের সমস্যা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা স্থান পায়। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নয়, এই সমা ইউরোপেও বিশেষ করে ইংল্যান্ডের বেশ কিছু লেখক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এ ব্যাপারে ১৯০৯ সালে ইংরেজ লেখক স্যার নর্মান আঞ্জেল (Sir Norman Angeli)-এর লেখা “The Great Illusion’ গ্রন্থটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক আলোচনার বিকাশে এই গ্রন্থটি উল্লেখযোগ্য অবদান জোগায়। তবে এইসব লেখকের আলোচনার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তাত্ত্বিক কাঠামো গড়ে ওঠেনি। তাঁদের আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছিল আইন, দর্শন, অর্থনীতি, রাজনীতি, কূটনৈতিক ইতিহাস ইত্যাদি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে সুসংবদ্ধ তাত্ত্বিক ধারার সন্ধান পাওয়া যায় ১৯২০-এর

দশক থেকে। ওই সময় থেকে আজ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়টির বিবর্তন ঘটেছে

মূলত তিনটি ভিন্ন ধারায়, যথা

(i) আদর্শবাদী ধারা (১৯২০-এর দশক থেকে ১৯৩০-এর দশক পর্যন্ত); (ii) বাস্তববাদী ধারা (১৯৩০-এর দশকের শেষ থেকে ১৯৫০-এর দশক পর্যন্ত); (ii) সমাজ বিজ্ঞানভিত্তিক ধারা (১৯৫০-এর দশকের শেষ থেকে আজ পর্যন্ত)।

(i) আদর্শবাদী ধারা : প্রথম ধারাটি অর্থাৎ আদর্শবাদী ধারার সূত্রপাত হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ ধ্বংসলীলার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়ার্থরূপ। এই ধারার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল প্রধানত উড্রো উইলসনের চিন্তা-ভাবনা। এই ধারার প্রবক্তাগণ মনে করতেন যে, মানব চরিত্র মূলত সহযোগিতামূলক এবং শান্তিপ্রিয়। দ্বিতীয়ত, মানবসভ্যতার অগ্রগতির মূলে আছে মানুষের এই সহযোগিতার মনোভাব। তৃতীয়ত, মানুষ যদি খারাপ কাজ করে, তার জন্য সে ঘতনা দায়ী, তার থেকে অনেক বেশি দায়ী তার পারিপার্শ্বিক সামাজিক কাঠামো। দেশে দেশে যেসব যুদ্ধ সংঘটিত হয় তার পিছনে কাজ করে ত্রুটিপূর্ণ আন্তর্জাতিক কাঠামো। চতুর্থত, যুদ্ধ বা নৈরাজ্য কখনই আন্তর্জাতিক সমাজের স্থায়ী রূপ হতে পারে না। পঞ্চমত, আদর্শবাদীদের মতে যুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক নৈরাজ্যের অবসান ঘটানোর জন্য প্রয়োজন আন্তর্জাতিক স্তরে যৌথ প্রচেষ্টা। এককথায় আদর্শবাদীরা এমন একটা বিশ্ব গঠনের পরিকল্পনাকে বাস্তবসম্মত বলে মনে করেন যেখানে শান্তি চিরস্থায়ী হবে এবং যা নৈতিকতার এপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে।

(ii) বাস্তববাদী ধারা : আদর্শবাদী দৃষ্টিভঙ্গি যুক্তি ও নৈতিকতার দিক থেকে সমর্থনযোগ্য হলেও বাস্তবের নিরিখে তা যে খুব বেশি কার্যকর নয় তার প্রমাণ হাতে নাতেই পাওয়া গেল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অভূতপূর্ব ধ্বংসলীলার মধ্য দিয়ে। বস্তুতপক্ষে আদর্শবাদে যে আন্তর্জাতিক শান্তি, সৌহার্দ্য, মূল্যবোধের কথা উচ্চারিত হয়, বাস্তব রাজনীতিতে তার মূল্য যৎসামান্যই। তাই ১৯৩০-এর দশকের শেষ থেকে আদর্শবাদী লেখকদের বিরোধিতা করে। আস্ত তিক রাজনীতিতে আবির্ভাব ঘটে যায় বাস্তববাদী চিন্তাধারার। এই নতুন চিন্তাধারার বিবর্তন, সংজ্ঞা ও প্রকৃতি, একটি স্বতত্ব শাস্ত্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দাবি, পরিধি ও বিষয়বস্তু প্রথম প্রকাশ ঘটে ১৯৩৯ সালে E. H. Carr-এর লেখা Twenty Yearst Crisis গ্রন্থটির মাধ্যমে। পরবর্তীকালে মরগেনথউ (H. 1. Morgenathan), সোয়ার্জেন বার্গার, হার্বার্ট বাটারফিল্ড, জর্জ কেনান, আনশ্চ উলফার্স, জন স্পাইকম্যান প্রমুখ লেখকের দ্বারা বাস্তববাদী। তত্ত্বটি সমৃদ্ধ হয়। এই তত্ত্বের প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয় হল এই যে, সর্বদেশে ও সর্বকালে আন্তঃরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ন্ত্রিত হয় ক্ষমতা অর্জন ও তার সম্প্রসারণের তাগিদে। বাস্তববাদীদের মতে জাতীয় স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য যে কোনো রাষ্ট্রেরই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত সামরিক শক্তিকে ক্রমশ বাড়িয়ে যাওয়া। তাঁদের মতে, রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক শক্তিবৃদ্ধির চেয়ে সামরিক শক্তিবৃদ্ধির বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, সামরিক ক্ষমতাবৃদ্ধি ঘটলে জাতীয় স্বার্থ পুরণের কাজটি সহজসাধ্য হয়। বাস্তববাদীদের আরও বক্তব্য হল, যৌথ নিরাপ ক্ষমতার ভারসাম্য নীতি জাতীয় স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারে বেশি কার্যকর। 3/9

ছুটি হী san সব তি,

এর

ছিল

নিব

তার

তার

(iii) সমাজ বিজ্ঞানভিত্তিক ধারা : আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষণে বা তত্ত্বটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করলেও ১৯৬০-এর দশক থেকে এই তত্ত্বের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। স্টানলি হফম্যান-এর মতে বাস্তববাদী তত্ত্বে রাজনীতি ও ক্ষমতাকে সমার্থক বলে গণ্য করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বার্থপূরণে ক্ষমতা হল একটি হাতিয়ার, তাকে কেন্দ্রীয় ভূমিকা অর্পণ করা বিপজ্জনক। তাছাড়া হফম্যান-এর মতে, এই তত্ত্ব ক্ষমতা ছাড়া রাষ্ট্রীয় আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রণকারী অন্যান্য বহু শক্তিকে উপেক্ষা করেছে। বস্তুতপক্ষে আন্তর্জাতিক স্তরে গণতন্ত্রীকরণের প্রভাব, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির স্বাধীনতা অর্জন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অ-রাষ্ট্রীয় এককের (non-state actor) ক্রমবর্ধমান ভূমিকা ইত্যাদির প্রেক্ষিতে ১৯৬০-এর দশকের শুরু থেকে বিশ্বজুড়ে যে নতুন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা সমাধান করা বা সেগুলির যথার্থ ব্যাখ্যা দেওয়া বাস্তববাদের পক্ষে সম্ভব না। এই প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মতো আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পাঠের ক্ষেত্রেও পরিমিতি (measurement), যথার্থতা (Precision), পরিমাণ নির্ণয় (Quantification), প্রতিরূপ নির্ণয় (model-building) প্রভৃতি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটানোর দাবি উঠতে থাকে। আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিকাশের এই পর্যায়ে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়, যার ফলশ্রুতিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আলোচনায় সাধারণ কাঠামোগত তত্ত্ব, আচরণবাদী তত্ত্ব, সামাজিক মনস্তত্ত্ব প্রভৃতির প্রভাব বাড়তে থাকে। এই পর্যায়ের প্রতিনিধিস্থানীয় লেখকগণ হলেন মর্টন ক্যাপলান, কার্ল ডয়েশ্চ, হেনরি কিসিঙ্গার

ওয়া যে বার

ইত্যাদি। প্রায় একইসঙ্গে ১৯৬০-এর দশকের শেষভাগ থেকে বাস্তববাদের ক্ষমতাকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা তত্ত্ব (Inter-dependence Theory)। এই তত্ত্বের প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয় হল এই যে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি একক অপর একককে, একটি রাষ্ট্র অপর রাষ্ট্রীয় সমাজব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে। একেই বলা হচ্ছে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা। এই তত্ত্বের প্রধান দুই প্রবক্তা হলেন রবার্ট কেওহান ( Robert Keohane) ও জোসেফ নাই (Joseph Nye)। এই তত্ত্বের মূল লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অর্থনীতির বিশ্লেষণ এবং আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন অ-রাষ্ট্রীয় ৬.কক, বিশেষত বহুজাতিক সংস্থাগুলি, যে ভূমিকা পালন করে চলে তার সঠিক বিশ্লেষণ। তবে ষাট ও সত্তরের দশকের এই পরস্পর নির্ভরশীলতার তত্ত্বে বর্ণিত রাষ্ট্রের ক্রমহ্রাসমান গুরুত্বের ধারণাটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি।

১৯৮০-এর দশক থেকে নয়া উদারবাদের (Neo-liberalism) বিরুদ্ধে প্রতিক্রি হিসাবে নয়া-বাস্তববাদের (Neo-Realism) উদ্ভব হয়। নয়া বাস্তববাদীগণ গ্রুপদী বাস্তববাদের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষণে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক তাত্ত্বিক কাঠামো নির্মাণে সচেষ্ট হন। নয়া বাস্তববাদের সূচনা ঘটে ১৯৭৯ সালে Kenneth N Waltze Theory of International Politics গ্রন্থটি প্রকাশের মধ্য দিয়ে। ওয়ালক তাঁর গ্রন্থে আন্তর্জাতিক কাঠামো, প্রক্রিয়া ও তৎসংক্রান্ত বিভিন্ন পরিণামের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। নয়া বাস্তববাদের মূল কদ্রব্য হল এই যে, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে রাষ্ট্রের সমান্তরাল অন্যান্য অ-রাষ্ট্রীয় সংস্থা সক্রিয় থাকলেও শেষ বিচারে বাদুই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারী এবং বিশ্বব্যবস্থায় রাষ্ট্রের ভূমিকাই সর্বাগ্রগণ্য। নিরাপত্তাজনিত সংকট মোকাবিলায় এখনও পর্যন্ত প্রত্যেক রাষ্ট্রই ক্ষমতার ভারসাম্য নীতিকে অনুসরণ করে চলে।

• মার্কসীয় ধারা

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষণে আদর্শবাদী, বাস্তববাদী, নয়া উদারবাদী প্রভৃতি ধারাগুলির পাশাপাশি একটি স্বতন্ত্র অথচ শক্তিশালী ধারা সমান্তরালভাবে অগ্রসর হতে থাকে। এই ধারাটির অঙ্কুরোনাম হয় ১৯১৬ সালে মূলত লেনিন-এর লেখা Imperialsim The Highest Stage of Capitalism শীর্ষক গ্রন্থটি প্রকাশের মধ্য দিয়ে। তবে ১৯১৫ সালে নিকোলাই বুখারিন (N, Bukharin)-এর লেখা Imperialsim and World Economy গ্রন্থটিও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পাঠের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। উভয় গ্রন্থেরই মূল বক্তব্য হল, অর্থনৈতিক উপাদানকে বাদ দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের আলোচনা কখনই বাস্তবসম্মত হতে পারে না। ধনতন্ত্রের বিকাশ আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে কতখানি এবং কীভাবে প্রভাবিত করে, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণে অর্থনৈতিক উপাদান কতখানি ভূমিকা পালন করে—এইসব প্রশ্নের আলোচনাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে মার্কসবাদী ধারা। লেনিন প্রথম বিশ্বযুদ্ধকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। তাঁর মতে, এই যুদ্ধের প্রধান কারণ হল অর্থনৈতিক লাভালাভের প্রশ্নে সাম্রাজ্যবাদী ধনতান্ত্রিক শক্তিগুলির মধ্যে পারস্পরিক বিরোধ।

১৯৬০- ও ‘৭০ এর দশকে আন্দ্রে গুন্ডার ফ্রাঙ্ক (A. G. Frank), ইমানুয়েল ওয়ালাস্টাইন (I. Wallerstein), রউল প্রেবিশ (Raul Prebisch) প্রমুখ লেখকগণ যে বিশ্বব্যবস্থা তত্ত্ব (World System Theory) গড়ে তোলেন তা বহুলাংশে মার্কসীয় ধারায় প্রবাহিত, যদিও এঁদের বৌদ্ধিক আনুগত্য ভিন্নমুখী। মার্কসবাদীদের ন্যায় এইসব লেখকেরও বক্তব্য হল,

Updated: July 28, 2022 — 9:40 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Help Bangla © 2023 Frontier Theme