দশম শ্রেনী ।জীবন বিজ্ঞান সাজেশন ( জীবনের প্রবাহমানতা) প্রশ্নোত্তর 2023 । দ্বিতীয় অধ্যায়
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর । জীবনের প্রবাহমনতা । দশম শ্রেণী সাজেশন । মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান । Madhyamik Life science
1. জিন কোথায় থাকে?
উত্তর: ক্রোমোজোম মধ্যস্থ DNA-তে।
2. কোন্ বিজ্ঞানীদ্বয় DNA-এর সর্পিলাকার গঠন বর্ণনা করেন?
উত্তর: বিজ্ঞানী ওয়াটসন ও ক্লিক
3 . কোন্ প্রকার কোশ বিভাজনে বেম গঠিত হয় না?
উত্তর: অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজনে।
4. জননকোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা কত?
উত্তর: হ্যাপ্লয়েড (n)।
5. কোন্ ক্রোমোজোম দেহজ বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে?
উত্তর: অটোজোম।
6. কোশ বিভাজনের কোন্ দশায় নিউক্লীয় পর্দা ও নিউক্লিওলাসের পুনরাবির্ভাব হয়?
উত্তর: টেলোফেজ দশায়।
7. কোশ বিভাজনের কোন্ দশায় ক্রোমোজোম বিষুব অঞ্চলে অবস্থান করে?
উত্তর: মেটাফেজ দশায়।
8. স্ত্রীদেহে ক্রোমোজোম বিন্যাস কীরূপ?
উত্তর: 44A+XXI
9. অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজন কোথায় দেখা যায়?
উত্তর: ঈস্ট, ব্যাকটেরিয়া প্রভৃতিতে।
10. জিন কাকে বলে?
উত্তর: জিন হল DNA-এর কার্যকরী অংশ যা নির্দিষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিড তথা প্রোটিনের সংকেত বহন করে । তাকেই জিন বলে
11. ক্রোমোজোমের প্রান্তকে কী বলে?
উত্তর: টেলোমিয়ার।
12. ক্রোমোজোমের দৈর্ঘ্য বরাবর অবস্থিত দুটি তন্তুর প্রত্যেকটিকে কী বলে?
উত্তর: ক্রোমাটিড।
13. ক্রোমোজোমের যে অংশে সক্রিয় DNA থাকে তাকে কী বলে?
উত্তর: ইউক্রোমাটিন।
14. ক্রোমোজোমের শেষ থাকলে তাকে কী বলে?
উত্তর: টেলোসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম।
15. কোন্ প্রকার টিউমার থেকে ক্যানসার সৃষ্টি হয়?
উত্তর: ম্যালিগন্যান্ট টিউমার।
16. প্রাণীকোশে সাইটোকাইনেসিস হয় কোন্ পদ্ধতিতে?
আরোও পড়ুন ”-দশম শ্রেণী জীবনবিজ্ঞান জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় প্রথম অধ্যায় 2023
উত্তর: ক্লিভেজ বা ফারোয়িং পদ্ধতিতে।
17. কোন্ প্রকার কোশ বিভাজনে নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম একসাথে বিভাজিত হয় ?
উত্তর: অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজনে।
18. কোন্ প্রকার কোশ বিভাজনে 4টি হ্যাপ্লয়েড কোশ তৈরি হয়?
উত্তর: মিয়োসিস কোশ বিভাজনে।
19. কোন্ প্রকার কোশ বিভাজনকে সদৃশ বা সম বিভাজন বলে ?
উত্তর: মাইটোসিস কোশ বিভাজনে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর । জীবনের প্রবাহমনতা । দ্বিতীয় অধ্যায়। দশম শ্রেণী সাজেশন । মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান । Madhyamik Life science
ক্রোমোজোম কী
উত্তর: ইউক্যারিওটিক কোশে নিউক্লীয় জালক থেকে উৎপন্ন স্ব-প্রজননকারী যে কুণ্ডলীকৃত, দণ্ডের মতো অংশ জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক জিন-কে বহন করে, তাকে ক্রোমোজোম বলে।
ক্রোমোজোম কীভাবে তৈরি হয়
উত্তর: কোশ বিভাজনের সময় নিউক্লীয় জালকের DNA-তন্ত্রী বিভিন্ন হিস্টোন প্রোটিনকে দৃঢ়ভাবে পাকিয়ে নিউক্লিওজোম তৈরি করে, যা পরবর্তী পর্যায়ে কুণ্ডলিত ও অতি কুণ্ডলিত হয়ে ক্রোমোজোম গঠন করে। মেটাফেজ দশায় ক্রোমোজোমগুলিকে স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
ক্রোমোজোম কয় প্রকার ও কী কী
উত্তর: কাজের ভিত্তিতে ক্রোমোজোম দুই প্রকারের হয়
[1] অটোজোম (দেহজ ক্রোমোজোম)
[2] অ্যালোজোম (সেক্স ক্রোমোজোম)।
হ্যাপ্লয়েড ও ডিপ্লয়েড কোশ বলতে কী বোঝ
উত্তর:
হ্যাপ্লয়েড কোশ – যে সমস্ত কোশে প্রজাতি নির্দিষ্ট সমসংস্থ ক্রোমোজোম জোড়ার একটি করে সেট থাকে, তাকে হ্যাপ্লয়েড কোশ বলে।
উদাহরণ– জননকোশ (শুক্রাণু ও ডিম্বাণু)।
ডিপ্লয়েড কোশ – যে সমস্ত কোশে প্রজাতি নির্দিষ্ট সমসংস্থ ক্রোমোজোম জোড়ার দুটি সেটই থাকে, তাকে ডিপ্লয়েড কোশ বলে।
উদাহরণ— মানুষের দেহকোশ, জাইগোট।
সমসংস্থ বা হোমোলোগাস ক্রোমোজোম কাকে বলে
উত্তর: ডিপ্লয়েড কোশে যে সম আকৃতির ও সমগুণ সম্পন্ন ক্রোমোজোম জোড়া থাকে, তাদের প্রতি জোড়াকে সমসংস্থ ক্রোমোজোম বলে। এর একটি পিতৃদত্ত ও অপরটি মাতৃদত্ত। মানুষের 23 জোড়া সমসংস্থ ক্রোমোজোম থাকে।
ক্রোমাটিড কাকে বলে
উত্তর: প্রতিটি ক্রোমোজোম দৈর্ঘ্য বরাবর দুটি সুতোর মতো অংশ দ্বারা গঠিত যা সেন্ট্রোমিয়ারে যুক্ত থাকে তাকে ক্রোমাটিড বলে ।
গৌণ খাঁজ কী ? একে NOR বলে কেন ?
উত্তর: গৌণ খাঁজ: ক্রোমোজোমে মুখ্য খাঁজ ছাড়া অপর যে খাঁজ থাকে, তাকে গৌণ খাঁজ বলে। প্রজাতিভেদে গৌণ খাঁজ এক বা একাধিক হয়। মানুষের 13, 14, 15, 21 এবং 22 নং ক্রোমোজোমে গৌণ খাঁজ থাকে।
NOR-বলার কারণ: গৌণ খাঁজে নিউক্লিওলাস গঠনের জিন থাকে, তাই একে NOR বা নিউক্লিওলার অর্গানাইজার রিজিয়ন বলে।
স্যাটেলাইট কাকে বলে?
উত্তর: ক্রোমোজোমের গৌণ খাঁজের পরবর্তী অংশে যে স্ফীত অংশ থাকে, তাকে স্যাটেলাইট বা SAT body বলে। স্যাটেলাইটযুক্ত ক্রোমোজোমকে SAT ক্রোমোজোম (SAT=Sine Acido Thymidine) বলা হয়
টেলোমিয়ার কী? এর গুরুত্ব কী?
উত্তর: টেলোমিয়ার: ক্রোমোজোমের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যযুক্ত ও রিপিটেটিভ DNA-যুক্ত নন-স্টিকি প্রান্তদ্বয়কে টেলোমিয়ার বলে।
গুরুত্ব:
[1] ক্রোমোজোমের প্রান্তদ্বয়কে জুড়তে দেয় না।
[2] প্রতিলিপিকরণে সাহায্য করে।
[3] কোশের বার্ধক্য ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ করে।
[4] আপাত নিষ্ক্রিয় কিন্তু ক্যানসার কোশে সক্রিয় হয়ে টেলোমারেজ উৎসেচক ক্ষরণ করে কোশের বিভাজন ত্বরান্বিত করে।
ক্রসিং ওভার কাকে বলে? এর গুরুত্ব কী ?
উত্তর: ক্রসিংওভার: হোমোলোগাস বা সমসংস্থ ক্রোমোজোমের নন্-সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে খণ্ড বিনিময়কে ক্রসিং ওভার বলে। মিয়োসিস-এর প্রথম প্রোফেজের প্যাকাইটিন উপদশায় কায়াজমা স্থানে সাইন্যাপটোনিমাল কমপ্লেক্স গঠনের মাধ্যমে ক্রসিং ওভার হয়।
গুরুত্ব: জিনের পুনর্বিন্যাস হয়ে জীবের মধ্যে নতুন বৈশিষ্ট্যের আবির্ভাব হয় ও বিবর্তনের পথ সুগম হয়।
মিয়োসিসকে কেন হ্রাস বিভাজন বলে?
উত্তর: মিয়োসিস কোশ বিভাজনে নিউক্লিয়াসসহ সাইটোপ্লাজম দুবার কিন্তু ক্রোমোজোম একবার বিভাজিত হয় বলে, ডিপ্লয়েড মাতৃকোশের অর্ধ সংখ্যক ক্রোমোজোমযুক্ত চারটি হ্যাপ্লয়েড অপত্য কোশ তৈরি হয়, তাই একে হ্রাস বিভাজন বলে।
অ্যামাইটোসিস কাকে বলে? একে প্রত্যক্ষ বিভাজন বলে কেন?
উত্তর: অ্যামাইটোসিস : যে কোশ বিভাজনে নিউক্লিয়াসের কোনো পরিবর্তন ছাড়াই নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমের সরাসরি বিভাজন হয়, তাকে অ্যামাইটোসিস বলে।
প্রত্যক্ষ বিভাজন বলার কারণ :
এই ধরনের কোশ বিভাজনে নিউক্লীয় পর্দার অবলুপ্তি হয় না। এক্ষেত্রে বেম গঠন ছাড়াই, নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম সরাসরি বিভাজিত হয়। তাই একে প্রত্যক্ষ বিভাজন বলা হয়।
G0 দশা কী?
উত্তর: কোশচক্রের G1 দশার যে বিন্দুতে কোশচক্র নিয়ন্ত্রণকারী প্রভাবকের অভাবে, কোশচক্র থেমে যায় তাকে Go দশা বলে। এই অবস্থায় কোশগুলি বিপাকীয়ভাবে সক্রিয় থাকে। এগুলি বৃদ্ধি ও বিভেদীকরণের দ্বারা জীবদেহে নির্দিষ্ট কাজ করে থাকে। প্রাণীদেহে লোহিত রক্তকণিকা ও স্নায়ুকোশে Go দশা দেখা যায়।