দশম শ্রেণী সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ চতুর্থ অধ্যায় । history Class 10th chapter 4th
প্রিয় দশম শ্রেনি শিক্ষার্থী তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্নপত্র । আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি মাধ্যমিক সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ প্রশ্ন ও উত্তর ।। তোমাদের জন্য আজ আমি সম্পূর্ণ ইতিহাস অধ্যায় ভিত্তিক সাজেশন 2022 -2023 নিয়ে এসেছি ।সকল বিষয়ের সাজেশন এই ব্লগ থেকে তোমরা পাবে । Madhyamik history 4th chapter 2023। এছাড়া দশম শ্রেণীর চতুর্থ অধ্যায় এর mcq,saq, অতিসংক্ষিপ্ত,সংক্ষিপ্ত প্রশ্নত্তর নিচে দেয়া হলো
সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ mcq সাজেশন । মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সাজেশন ।। দশম শ্রেণী ইতিহাস সাজেশন 2023
সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ mcq প্রশ্নোত্তর
1. জমিদার সভা গড়ে উঠেছিল
(A) জমিদারদের স্বার্থরক্ষার জন্য
(B) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিতর্ক সভায় ভারতীয়দের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য
(C) শিক্ষিত সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক দাবি পূরণের জন্য
(D) ভারতের অতীত গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য
2.১৩৭৬ সালের মন্বন্তরের মর্মস্পর্শী বর্ণনা আছে
(A) গোরা উপন্যাসে
(B) বর্তমান ভারত গ্রন্থে
(C) আনন্দমঠ উপন্যাসে
(D) পথের দাবি গ্রন্থে
3. আনন্দমঠ উপন্যাসের পটভূমি ছিল—
(A) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ
(B) নীল বিদ্রোহ
(C) সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ
(D) পাবনা বিদ্রোহ
4. মহারানির ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভারতের ‘রাজপ্রতিনিধি হিসেবে প্রথম নিযুক্ত হন
(A) লর্ড ডালহৌসি
(B) লর্ড ক্যানিং (১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দ)
(C) লর্ড বেন্টিঙ্ক
(D) লর্ড মাউন্টব্যাটেন
5. ভারতসভার কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন—
(A) কেশবচন্দ্র সেন
(B) সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
(C) হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
(D) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
6. এখানে আলাদা গোত্রের উপাদানটি হল—
(A) ভারতমাতা
(B) গোরা
(C) আনন্দমঠ
(D) বর্তমান ভারত
7. উনিশ শতককে ‘সভা-সমিতির যুগ’ বলেছেন—
(A) রণজিৎ গুহ
(B) অনিল শীল
(C)যদুনাথ সরকার
(D) সুমিত সরকার
8. নব্যবঙ্গ চিত্রকলার পথিকৃৎ ছিলেন—
(A) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(B) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(C) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(D) গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর
9. এইটিন ফিফটি সেভেন গ্রন্থের রচয়িতা
(A) সুরেন্দ্রনাথ সেন
(B) সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
(C) রমেশচন্দ্র মজুমদার
(D) বি. ডি. সাভারকার
10. এ নেশান ইন মেকিং গ্রন্থের রচয়িতা
(A) সুরেন্দ্রনাথ সেন
(B) সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
(C) রমেশচন্দ্র মজুমদার
(D) বি. ডি. সাভারকার
11. মহারানি ভিক্টোরিয়া ‘ভারত সম্রাজ্ঞী’ উপাধি পান
(A) ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে
12. পূণা সার্বজনিক সভা (১৮৭০ খ্রিস্টাব্দ) প্রতিষ্ঠা করেন—
(A) দাদাভাই নৌরজি
(B) দয়ানন্দ সরস্বতী
(C) মহাদেব গোবিন্দ রানাডে
(D) রামকৃষ্ণ ভান্ডারকর
13. মহাজন সভা (১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দ) প্রতিষ্ঠিত হয়—
(A) মাদ্রাজে
(B) বোম্বাইয়ে
(C) কলকাতায়
(D) দিল্লিতে
14. ‘হিন্দুমেলা’-র অপর নাম ছিল—
(A) ভারতমেলা
(B) চৈত্রমেলা
(C) বৈশাখী মেলা
(D) জাতীয়মেলা
15. দমনমূলক অস্ত্র আইন (১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দ) ও মাতৃভাষায় সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দ) পাস করেন—
(A) লর্ড রিপন
(B) লর্ড লিটন
(C) লর্ড বেন্টিঙ্ক
(D) লর্ড ক্যানিং
16. ভারত সভার মুখপত্র ছিল—
(A) ন্যাশনাল পেপার
(B) অমৃত বাজার
(C) ইন্ডিয়ান মিরর
(D) বেঙ্গলি পত্রিকা
17. বেঙ্গলি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন—
(A) সুরেন্দ্রনাথ সেন
(B) সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
(C) শিশির কুমার ঘোষ
(D) নবগোপাল মিত্র
18. লন্ডনে ‘ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি’ প্রতিষ্ঠা (১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দ) করেন—
(A) আলেকজান্ডার ডাফ
(B) উইলিয়াম অ্যাডাম
(C) উইলিয়াম কেরি
(D) উইলিয়াম ওয়েডারবার্ন
19. ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়—
(A) ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে
20. ‘ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন’-এর প্রথম সভাপতি
(A) প্রসন্নকুমার ঠাকুর
(B) রাধাকান্ত দেব
(C) দ্বারকানাথ ঠাকুর
(D) গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য।
সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ অতিসংক্ষিপ্ত সাজেশন । দশম শ্রেণী ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সাজেশন ।। ইতিহাস সাজেশন 2023
সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
1. একজন ব্যঙ্গ চিত্রশিল্পীর নাম করো।
উত্তর : গগেন্দ্রনাথ ঠাকুর
2. ‘ভারতমাতা’ চিত্রটি কোন ঐতিহাসিক ঘটনার পটভূমিকায় অঙ্কিত?
উত্তর: বঙ্গ বিরোধী স্বদেশী আন্দোলন পটভূমিকায়
3. ভারতসভার একজন প্রতিষ্ঠাতার নাম লেখো।
উত্তর: সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
4. ‘গোরা’ উপন্যাসটি কে রচনা করেন?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
5. কোন প্রেক্ষাপটে ‘গোরা’ উপন্যাস লেখা হয়েছিল?
উত্তর: 1857 খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে
6. কোন ভাইসরয়ের সময় ইলবার্ট বিল আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল?
উত্তর: লর্ড রিপন এর সময়
7. আনন্দমঠ কে রচনা করেন?
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
8. ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাস কোন্ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: বঙ্গদর্শন পত্রিকা
9. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি সংক্রান্ত বিতর্ক—
উত্তর:
10. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে ‘সামন্তশ্রেণির মৃত্যুকালীন আর্তনাদ’ বলে অভিহিত করেছেন কে?
আরোও পড়ুন ”-প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ তৃতীয় অধ্যায় 2023।। Class 10th 3rd chapter suggestion
আরোও পড়ুন ”- সংস্কার : বৈশিষ্ট্য মূল্যায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় সাজেশন 2023 ।। Madhyamik history 2nd chapter
আরোও পড়ুন ”-দশম শ্রেনী ভৌত বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় সাজেশন 2023 ।। Class 10th physical science
উত্তর: ব্যারাকপুরে
11. সিপাহি বিদ্ৰোহ/মহাবিদ্রোহের প্রথম সূচনা হয় কোথায়?
উত্তর : মিরাটে
13. মঙ্গল পান্ডে কে ছিলেন?
উত্তর: সিপাহী বিদ্রোহের প্রথম শহীদ
14. মহাবিদ্রোহের সময় ভারতের গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন?
উত্তর : লর্ড ক্যানিং
15. শেষ মোগল সম্রাট কে ছিলেন?
উত্তর: দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ
সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ সংক্ষিপ্ত সাজেশন । মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সাজেশন ।। দশম শ্রেণী ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন
প্রশ্ন : ঊনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্থকে ‘সভা-সমিতির যুগ’ বলা হয় কেন?
উত্তর: জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষের সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয়রা উপলব্ধি করে যে, দেশের স্বার্থরক্ষার্থে তথা সরকারের নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ আন্দোলন প্রয়োজন। এই উপলব্ধি থেকেই উনিশ শতকে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অসংখ্য রাজনৈতিক সভা-সমিতি গড়ে উঠতে থাকে। এইজন্য অধ্যাপক অনীল শীল উনিশ শতককে ‘সভা-সমিতির যুগ বলে অভিহিত করেছেন।
প্রশ্ন: আনন্দমঠ কীভাবে জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে উদ্দীপ্ত করেছিল?
উত্তর : সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে রচিত ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসের মাধ্যমে ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবোধের বিপুল জাগরণ ঘটে। আনন্দমঠের ‘সন্তানদলের’ উচ্চারিত ‘বন্দেমাতরম্’ সংগীত বিপ্লবীদের মন্ত্রমুগ্ধ করেছিল। এই উপন্যাসে তাঁরচ বঙ্কিমচন্দ্র পরাধীন ভারতমাতার দুর্দশার চিত্র দেশবাসীর সামনে তুলে ধরে দেশবাসীকে মুক্তি আন্দোলনে আন্দোলিত করেছেন। সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের জ্বলন্ত দলিল স্বরূপ ‘আনন্দমঠ’ দেশপ্রেমের জোয়ার এনেছিল।
প্রশ্ন: মহারানির ঘোষণাপত্রের মূল উদ্দেশ্য কী ছিল ?
উত্তর- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ঘোষিত মহারানির ঘোষণাপত্রের মূল উদ্দেশ্য ছিল—কোম্পানির অপশাসনের অবসান ঘটিয়ে ব্রিটিশ রাজশক্তি কর্তৃক ভারতের প্রত্যক্ষ শাসনভার গ্রহণ করা। দ্বিতীয়ত, ভারতীয় শাসন ব্যবস্থায় নতুন নীতি ও আদর্শ প্রবর্তনের কথা ঘোষণা করে জনসাধারণকে আশ্বস্ত করা।
প্রশ্ন : ব্যঙ্গচিত্র কেন আঁকা হয় ?
উত্তর: উত্তর চিত্রশিল্পের অন্যতম শাখারূপে ব্যঙ্গচিত্রে মূলত তির্যক বা ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে প্রচলিত গড়ে সামাজিক রীতিনীতি ও ত্রুটি-বিচ্যুতিকে মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়। অত্যন্ত সরস ভঙ্গিতে | সমাজের পাশাপাশি রাজনীতি, অর্থনীতি এমনকি সাংস্কৃতিক ত্রুটিগুলিকে আক্রমণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর তৎকালীন ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা, ‘বাবু’ সমাজের ভন্ডামি এবং ধর্মীয় দ্বিচারিতাকে তাঁর ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন।
প্রশ্ন: হিন্দুমেলা কীভাবে উপনিবেশ বিরোধী মনোভাব জাগ্রত করেছিল ? জাতীয়তাবোধের জাগরণে হিন্দুমেলা কীরূপ ভূমিকা পালন করেছিল ?
উত্তর: হিন্দুমেলা আত্মনির্ভরতা ও ঐক্যবদ্ধতার মাধ্যমে যুবসমাজকে ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা অর্জনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে চেয়েছিল। শরীরচর্চা, অশ্বচালনার প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা-সাহিত্য-শিল্প-সংগীত-স্বাস্থ্য প্রভৃতির মাধ্যমে যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করতে | হিন্দুমেলা বিশেষ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল। সর্বোপরি দেশীয় জিনিসের প্রদর্শনী, দেশাত্মবোধ সঙ্গীত, বক্তৃতার আয়োজন প্রভৃতিতেও হিন্দুমেলার সদস্যরা অগ্রনী ছিলেন। হিন্দুমেলার অধিবেশনে সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ও গীত ‘মিলে সবে ভারত সন্তান’ গানটি বিপুল উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছিল।
প্রশ্ন: ইউরোপীয়রা ইলবার্ট বিলের বিরোধীতা করেছিল কেন ?
উত্তর: ইলবার্ট বিলে ভারতীয় বিচারকরা ইউরোপীয়দের বিচারের অধিকার পেয়েছিল। লর্ড রিপনের এই পদক্ষেপ শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশের উগ্র জাত্যাভিমানে আঘাত হানে। প্রভু ব্রিটিশকে নেটিভ ভারতীয়দের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে হবে—এই ঘটনা শ্বেতাঙ্গ সমাজ মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেনি, তাই তারা ইলবার্ট বিলের বিরোধিতায় শামিল হয়।
প্রশ্ন: ভারতসভা প্রতিষ্ঠার যে-কোনো দুটি উদ্দেশ্য লেখো।
উত্তর: ভারতসভা প্রতিষ্ঠার দুটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হল –
(i) ব্রিটিশ সরকারের শোষণমূলক নীতি ও পক্ষপাতদুষ্ট আইনের বিরুদ্ধে দেশে শক্তিশালী জনমত গঠন করা এবং
(ii) হিন্দু-মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের গণ-আন্দোলনে শামিল করা।
প্রশ্ন : গোরা কীভাবে জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে উদ্দীপ্ত করেছিল ?
উত্তর : ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথের ‘গোরা’ উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু হল উদার জাতীয়তাবাদের জাগরণ। সুবিশাল এই উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথের দেশপ্রেম, মানবপ্রেম ও বিশ্বভ্রাতৃত্ববোধ মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘গোরা’র পালিকা মা আনন্দময়ীর মতো ভারতমাতার কাছেও কোনো জাত-পাতের ভেদাভেদ নেই ।
প্রশ্ন: বর্তমান ভারত কীভাবে জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে উদ্দীপ্ত করেছিল?
উত্তর : বর্তমান ভারত’-এ স্বামীজি ভারত ও বিশ্বের ইতিহাস মন্থন করে শূদ্রের শাসন’কে অবশ্যম্ভাবী বলে ঘোষণা করেছেন। এইভাবে নিপীড়িত ভারতাত্মার জয়গান ঘোষিত হয়েছে তাঁর লেখনীতে। সেই সঙ্গে গ্রন্থের উপসংহারে স্বামীজি দেশবাসীকে স্বদেশমন্ত্র উপহার দিয়েছেন। দেশ ও দেশবাসীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে তিনি লিখেছেন—“ভারতবর্ষ আমার ভাই, ভারতবাসী আমার প্রাণ—ভারতের মৃত্তিকা আমার স্বর্গ, ভারতের কল্যাণ আমার কল্যাণ’। স্বামীজির এই স্বদেশমন্ত্রে পরাধীন দেশবাসী পেয়েছে নতুন করে বাঁচার প্রেরণা।
প্রশ্ন :মহারানির ঘোষণাপত্র বলতে কী বোঝো?
উত্তর : ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ নভেম্বর এলাহাবাদে অনুষ্ঠিত এক দরবারে মহারানি ভিক্টোরিয়ার এক ঘোষণাপত্রের দ্বারা ভারত শাসন সম্পর্কিত কয়েকটি নীতির কথা বলা হয়। এগুলি মহারানির ঘোষণাপত্র নামে পরিচিত। এতে ভারতীয় রাজন্যবর্গের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পূর্বতন সকল সন্ধির শর্তাদি রক্ষা, স্বত্ত্ববিলোপ নীতি পরিত্যাগ, সাম্রাজ্যবাদী নীতির পরিত্যাগ, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল ভারতবাসীর যোগ্যতানুসারে সরকারি চাকুরি প্রাপ্তি প্রভৃতির কথা বলা হয়।
প্রশ্ন :১৮৫৭খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে কী ‘জাতীয় বিদ্রোহ’ বা ‘স্বাধীনতার প্রথম সংগ্ৰাম’ বলা যায় ?
উত্তর: বিষয়টি বিতর্কিত। তবে, এই বিদ্রোহের ব্যাপক বিস্তৃতি, ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাদের প্রায় অর্ধেকের অংশগ্রহণ; বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের এই বিদ্রোহকে সমর্থন ও অংশগ্রহণ, হিন্দু-মুসলিম ঐক্য, বিদ্রোহ দমনে সরকারের ব্যাপক যুদ্ধ পরিচালনা ও নিষ্ঠুর দমন নীতিগ্ৰহণ—প্রভৃতি বৈশিষ্ট্যের জন্য এই বিদ্রোহকে অনেকাংশে ‘জাতীয় বিদ্রোহ’ বা ‘স্বাধীনতার প্রথম সংগ্রাম’ বলে অভিহিত করা যায়।
প্রশ্ন: ইলবার্ট বিল বলতে কী বোঝো?
উত্তর: ভারতে ইংরেজ শাসনের গোড়া থেকেই কোনো ভারতীয় বিচারক ইউরোপীয়দের বিচার করতে পারতেন না। এই বৈষম্য দূর করার জন্য বড়োলাট লর্ড রিপনের আইন সচিব ইলবার্ট ভারতীয় বিচারকদের এই ক্ষমতা প্রদান করে ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে যে আইনের খসড়া | পেশ করেন, তা ইলবার্ট বিল’ নামে পরিচিত