প্রিয় ছাত্র ছাত্রীরা আবারো চলে এসেছি দশম শ্রেনীর পরিবেশর জন্য ভাবনা অধ্যায় থেকে কিছু প্রশ্ন পত্র নিয়ে । যারা চাইছো যে এইবার তোমাদের ভালো রেজাল্ট হক এটা শুধু মাত্র তাদের জন্য । তাহলে আজ আমাদের সাজেশন এর মধ্যে থাকবে পরিবেশের জন্য ভাবনা থেকে বা প্রথম অধ্যায় থেকে MCQ ,SAQ, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর, অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ইত্যাদী । সাজেশন টি পড়ার আগে তোমাদের কাছে অনুরোধ করবো আমার গ্রুপ এ যুক্ত হয়ে যাওয়ার জন্য । তাহলে নিচে দেয়া হলো দশম শ্রেনি ভৌত বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর । তোমাদের যাতে ভালো পরিমাণ নম্বর উঠে সেই জন্যই এই সাজেশন করা তাই আমি ক্লাস টেন এর ভৌত বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় এর সাজেশন তৈরি করলাম । তো আজকের আমাদের টপিক হচ্ছে :-
ভৌত বিজ্ঞান দশম শ্রেণী পরিবেশের জন্য ভাবনা প্রশ্নোত্তর
১. দশম শ্রেণী ভৌত বিজ্ঞান সাজেশন
২. দশম শ্রেনী ভৌত বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর
৩. দশম শ্রেণী পরিবেশ জন্য ভাবনা প্রথম অধ্যায় সাজেশন
৪. দশম শ্রেণী ভৌত বিজ্ঞান সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
৫.দশম শ্রেনী ভৌত বিজ্ঞান অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ।পরিবেশের জন্য ভাবনা। ভৌত বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় । দশম শ্রেণী সাজেশন । মাধ্যমিক 2023 । Physical science suggestion
1. বায়ুমণ্ডল কাকে বলে
উত্তর:- আমাদের ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 600 কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বলায় কারে বিস্তারিত যে অদৃশ্য গ্যাসীয় আবরণ পৃথিবী কে ঘিরে রেখেছে তাকে বায়ুমণ্ডল বলে ।
2. বায়ুমণ্ডলের মূল উপাদান গুলি কি কি
উত্তর : নাইট্রোজেন,অক্সিজেন ,কার্বন-ডাই-অক্সাইড, ওজন, জলীয়বাষ্প,ধূলিকণা
3. বায়ুমন্ডলের গ্যাসীয় পদার্থের মোট ভর কত ?
উত্তর :- 5.5×10/15 টন
4. স্বাধীনতা ও উচ্চতার ভিত্তিতে বায়ুমন্ডলকে কয়টি স্তরে ভাগ করা হয়েছে ও কি কি ?
উত্তর:- উষ্ণতা ও উচ্চতার ভিত্তিতে বায়ুমন্ডলকে পাঁচটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে ।
১. ক্ষুদ্র মন্ডল বা ট্রপোস্ফিয়ার
২. শান্ত মন্ডল বা স্ট্যাটাসফিয়ার
৩. মেসোস্ফিয়ার
৪. থার্মোস্ফিয়ার
৫. এক্সোস্ফিয়ার
5. ট্রপোস্ফিয়ার কাকে বলে?
উত্তর:- বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে বায়ুতে ধূলিকনা জলীয়বাষ্প মেঘ ইত্যাদি থাকে ও ঝড়-বৃষ্টি বজ্রপাত ইত্যাদি প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটে থাকে ক্ষুব্ধ মন্ডল বা ট্রপোস্ফিয়ার ।
6. ওজনস্পেয়ার কোন স্তর কে বলা হয় ?
উত্তর:- স্ট্রাটোস্ফিয়ারকে
7. পরিচলন কাকে বলে
উত্তর :- যে প্রক্রিয়ায় তরল বা গ্যাসের উত্তপ্ত কণাগুলি নিজেরাই উষ্ণতার থেকে শীতলতর অংশে স্থানান্তরিত হয়ে তাপ সঞ্চালন করে তাকে পরিচলন বলে ।
8. পরিচলন স্রোত কাকে বলে ?
উত্তর:- তরল ও গ্যাসীয় পদার্থ উত্তপ্ত হলে তার আয়তন প্রসারণ এর জন্য ঘনত্ব কমে ফলে উত্তপ্ত তরল ও গ্যাসীয় পদার্থ হালকা হয়ে ওপরে উঠে ও ওপরে শীতল ভারী অংশ নিচে নেমে আসে । ফলে যে উলম্ব চক্রকার স্রোতের সৃষ্টি হয় তাকে পরিচলন স্রোত বলে ।
9. বায়ু প্রবাহ কাকে বলে
উত্তর:- উষ্ণতার তারতম্যের জন্য যখন সংলগ্ন অঞ্চলে বায়ুচাপের পার্থক্য হয় এবং তার ফলে উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলে আনুভূমিকভাবে বায়ু ধাবমান হয় তাকে বায়ু প্রবাহ বলে ।
10. ওজোন গহ্বর কি
উত্তর:- ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জো ফরমেন সর্ব প্রথম লক্ষ্য করেন আন্টার্টিকা অঞ্চলের উপরিভাগে স্ট্রাটোস্ফিয়ার এর অন্তর্গত ওজোন স্তরটি ক্রমশ পাতলা হয়ে যাচ্ছে ওজোন স্তর পাতলা হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ওজোন স্তরের ক্ষয় বা ওজন ছিদ্র বা ওজন গহ্বর বলে ।
11. ওজোন স্তরের ঘনত্ব কোন এককে পরিমাপ করা হয়?
উত্তর:- ডবসন একক
12. ওজোন স্তর ধ্বংসের ক্ষতিকারক প্রভাব গুলি আলোচনা কর
উত্তর:-
মানুষের উপর প্রভাব :-
১. চামড়ার ক্যান্সার মেলানোমা হতে পারে
২. চোখের ছানি পড়া
৩. চামড়া পুড়ে রং তামাটে হয়ে যেতে পারে
৪. প্রজনন ক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়
উদ্ভিদের ওপর প্রভাব:-
১. সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে ফলে শস্যের উৎপাদন কমে যাবে
২. পাতা বিবর্ণ হয়ে যাবে
৩. বীজের অঙ্কুরোদগম প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হবে
বারিমন্ডলের উপর প্রভাব:- সমুদ্রে ফাইটোপ্লাঙ্কটন সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া লক্ষ্যণীয়ভাবে কমে যাবে ফলে যেসব সামুদ্রিক মাছ প্রাণী ফাইটোপ্লাংটন খেয়ে জীবন ধারণ করেন তাদের বিনাশ ঘটবে ।
জলবায়ুর উপর প্রভাব :- ইউভি রশ্মি সরাসরি ভূপৃষ্ঠে পড়লে ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা বেড়ে যাবে, জলাশয় এর ফলে দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে যাবে ও জলবায়ু পরিবর্তন ঘটবে ।
আরোও পড়ুন ”- কীভাবে অনলাইনে বিডিও ইনকাম সার্টিফিকেট এর আবেদন করতে হয়
আরোও পড়ুন”-মাল্টিমিডিয়া কাকে বলে । মাল্টিমিডিয়ার প্রকারভেদ । মাল্টিমিডিয়ার উপাদান গুলি কি কি
আরোও পড়ুন”-মাল্টিমিডিয়া কাকে বলে । মাল্টিমিডিয়ার প্রকারভেদ । মাল্টিমিডিয়ার উপাদান গুলি কি কি
13. গ্রীন হাউস ইফেক্ট কাকে বলে
উত্তর: যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের সংলগ্ন বায়ুমন্ডলে উপস্থিত co2, ch4, n2o, জলীয়বাষ্প প্রবৃত্তি গ্যাসীয় পদার্থ, পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে বিকৃত অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ তরঙ্গের অবলোহিত রশ্মির কিছু অংশ শ্মশান ও বাকি অংশ প্রতিফলিত করে ভূপৃষ্ঠ ও তৎসংলগ্ন বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত রাখে এবং জীবকুলের বেঁচে থাকার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে তাকে গ্রীন হাউজ প্রভাব বা গ্রীন হাউস ইফেক্ট বলে ।
14. কয়েকটি গ্রিনহাউস গ্যাসের নাম লেখ
উত্তর:- কার্বন-ডাই-অক্সাইড co2-মিথেন ch4-ক্লোরোফ্লোরো কার্বন সিএফসি -নাইট্রাস অক্সাইড-জলীয় বাষ্প ।
15. বিশ্ব উষ্ণায়ন কাকে বলে
উত্তর:- গ্রীন হাউজ গ্যাস গুলির প্রভাবে সারা বিশ্বজুড়ে ক্রমাগত উষ্ণতা বৃদ্ধির ঘটনাকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বিশ্ব উষ্ণায়ন বলে ।
16. বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রধান কারণ গুলি কি কি
উত্তর:-
১.জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যাপক ব্যবহার
২. ক্রমাগত অরণ্যচ্ছেদন তথা co2 এর স্বাভাবিক গ্রাহক সংখ্যা হ্রাস এর ফলে co2 পরিমাণ বৃদ্ধি
৩. বায়ুতে অন্যান্য গ্রীন হাউজ গ্যাস যেমন সিএফসি মিথেন নাইট্রোজেন অক্সাইড এর পরিমাণ বৃদ্ধি ।
17. তাপন মূল্য কাকে বলে
উত্তর:- 1 কেজি ভরের কোন কঠিন বা তরল জ্বালানি অথবা 1M3 আয়তন বিশিষ্ট কোন গ্যাসীয় জ্বালানির সম্পূর্ণ দহনে যে পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয় তাকে জ্বালানির তাপন মূল্য বলে
18. জীবাশ্ম জ্বালানি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা লেখ
উত্তর :- নিত্যনতুন শিল্পায়ন ও উন্নততর জীবনযাত্রার তাগিদে শক্তির ব্যবহার ও চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চলেছে, যার প্রধান উৎস হল কয়লা, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস—অর্থাৎ জীবাশ্ম জ্বালানি।
এই জীবাশ্ম জ্বালানির সংরক্ষণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কারণ—[i] যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে জীবাশ্ম জ্বালানির ভান্ডার ক্রমে ফুরিয়ে আসছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এই ভান্ডার নিঃশেষিত হয়ে যাবে। [ii] জীবাশ্ম জ্বালানি তৈরি হতে কোটি কোটি বছর সময় লেগেছে, অর্থাৎ প্রকৃতির এই সম্পদ পুনর্নবীকরণযোগ্য নয়। [iii] জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমালে, এদের দহনে উৎপন্ন CO, এবং অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বায়ুমণ্ডলে হ্রাস পাবে, ফলে বিশ্ব উন্নায়নের মাত্রা কমবে। [iv] আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে কিছু পরিমাণ জীবাশ্ম জ্বালানি অবশ্যই সঞ্চয় করা দরকার। ফলে তারা উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির নতুন উৎস সন্ধানের সময় পাবে।
19. স্থিতিশীল উন্নয়ন কাকে বলে
উত্তর:- ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে প্রাকৃতিক সম্পদকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত না করে যখন মানব জাতির উন্নয়নের কাজে সুনিয়ন্ত্রিত উপায়ে সম্পদ আহরণ ও ব্যবহার করা হয় তখন তাকে স্থিতিশীল উন্নয়ন বলে ।
20. অনবীকরণ যোগ্য শক্তি কাকে বলে
উত্তর:- যে শক্তির উৎস কৃষ্ণ এবং সঞ্চয়ের ভান্ডার সীমিত তাদের অনবীকরণ যোগ্য শক্তি বলে ।
21. পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি কাকে বলে?
উত্তর:- যেসব শক্তির উৎস কখনো শেষ হয় না বাজার থেকে বরাবর শক্তি উৎপাদন করা হয় তাদের নবীকরণ যোগ্য বা পুনর্নবীকরযোগ্য শক্তি বলে ।
22. বায়োগ্যাসের ব্যবহার লেখ
উত্তর:- 1. বায়োমাস থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনের পর যে নিষ্ক্রিয় ও অবশিষ্ট জৈব আবর্জনা পড়ে থাকে তার নাইট্রোজেন ও ফসফরাস সমৃদ্ধ হওয়ায় উত্তম সার রূপে ব্যবহৃত হয় ।
2. বায়োগ্যাস জ্বালানি রূপে ও আলো জ্বালানোর কাজে ব্যবহৃত হয়
3. বায়োগ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়
4. বায়োমাস পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস ।
5. বায়োমাস থেকে বায়োগ্যাস উত্পাদন ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ করে ।
22.বায়োফুয়েল কাকে বলে ? বায়োফুয়েলের ব্যবহার লেখ
উত্তর:- বায়োমাস থেকে উৎপন্ন জ্বালানিকে বায়োফুয়েল বলে ।
বায়োফুয়েলের ব্যবহার
1. বায়ো ফাইনাল যা ভুট্টা ও আখের ছিবড়ে সন্ধান প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হয় । একটি গাড়ির জ্বালানি রূপে বা পেট্রোল এর সাথে মিশিয়ে ব্যবহৃত হয় ।
2. বায়ো ডিজেল যা উদ্ভিজ্জ তেল ও প ফিকেশন উৎপন্ন হয়
3. গ্যাসীয় বায়ুফুয়েল জ্বালানি রূপে আলোক উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় ।
4. বায়োফুয়েল এর দহনে অনেক কম পরিমাণে গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্ন হয় ।
23. বায়োমাস কাকে বলে
উত্তর:- কৃষিজাত বর্জ্য পচা গাছপালা, আখের ছিবড়ে, ভুসি ,শাকসবজি ও ফলমূল এর খোসা, রান্নাঘরের অব্যাবহিত জৈব পদার্থ, কচুরিপানা, প্রাণীর মল মূত্র, মৃত প্রাণীর দেহাবশেষ ইত্যাদি কার্বন ঘটিত পদার্থ গুলি কে একত্রে বায়োমাস বলে ।
24. বায়োগ্যাস কাকে বলে
উত্তর: বায়োমাস কে বায়ুর অনুপস্থিতিতে মিথজেনিক ব্যাক্টেরিয়া দাঁড়া বিয়োজিত করলে জটিল জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় যে গ্যাসটি ওজোন উৎপন্ন হয় তাকে জৈব গ্যাস বা বায়োগ্যাস বলে ।
25. বায়োমাস শক্তি কাকে বলে
উত্তর:- বায়োমাসে যে রাসায়নিক শক্তি সঞ্চিত থাকে তাকে বায়োমাস শক্তি বলে ।
26. মিথেন হাইড্রেট কাকে বলে
উত্তর:- মিথেন হাইড্রেট এক ধরনের কেলাসাকার কঠিন পদার্থ । এইচটুও অনুযায়ী গঠিত বরফ সাদৃশ্য ক্লাসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ মিথ্যার আবদ্ধ হয়ে এর সৃষ্টি হয় । এর সংযুক্তি । সমুদ্রের তলদেশে পাললিক শিলা স্তর এর নিচে মিথেন হাইড্রেট পাওয়া যায় । একে আগুনের বরফ বলা হয় । মিথেন হাইড্রেটে 13.3 পার্সেন্ট মিথেন থাকে ।
1 লিটার কঠিন মিথেন হাইড্রেট থেকে প্রায় 170 লিটার মিথেন পাওয়া যায় ।