রাত্রে ঘুম না হওয়ার ফলে কি হতে পারে জানেন ?

রাত্রে ঘুম না হলে কি কি অসুখ হয় 

ঘুমের কারণে যেমন মাঝ রাতে মানুষের ঘুম ভেঙ্গে যায় ঠিক তেমনিই খুব সকালে ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে আর এর কারণে বাড়তে পারে হৃদযন্ত্রে চাপ।

প্রতিনিয়ত মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাপ এবং মানুষের অবসাদের হার যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক সেই ভাবেই হ্রাস পাচ্ছে মানুষের ঘুম । আর এই কম ঘুম হওয়ার কারণেই মানুষের জীবনে একাধিক সমস্যার উৎপত্তি দেখা যেতে পারে। ঘুম কম হলে প্রথমেই স্বভাবের যে পরিবর্তন আমি লক্ষ্য করতে পারবেন তা হচ্ছে মেজাজ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক থেকে অস্বাভাবিকের দিকে যেতে থাকবে। কাজের প্রতি অনীহা তৈরি হতে থাকবে। এর সাথে বাসে থাকবে আপনার হৃদরোগের সম্ভাবনা এবং এর পাশাপাশি ঘটতে থাকবে আপনার দৈহিক হরমোনের ঘাটতিও।

আরোও পড়ুন ‘ ব্যায়াম চিকিৎসা বলতে কি বোঝ? বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়া আঘাতের চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে লেখ। 

 

সুস্থ থাকতে হলে আমাদের প্রতিদিনই নিয়ম করে খাওয়া দাওয়া করা যেমনই জরুরি ঠিক তেমনি জরুরি হচ্ছে নিয়মিত ঘাম ঝরিয়ে যোগ ব্যায়াম করা। এই সাথে রোজকারে খাওয়া দাওয়া থেকে বাদ দিতে হবে অত্যাধিক তেল মশলা জাতীয় খাবার।

ডাক্তারের মতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে ন্যূনতম টানা ছয় ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন আর তা না হলে বিভিন্ন প্রকারের রোগ বাসা বাঁধতে দেখা যায়। যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ওবেসিটি, ডায়াবেটিস ইত্যাদি।

তাড়াতাড়ি ঘুমানোর ফলাফল :

বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান দিনের মানুষের যে ধরনের দৈনন্দিন জীবন হয়ে উঠেছে তাতে রাত্রি বারোটার মধ্যে শুয়ে সকালের তাড়াতাড়ি ওঠাটাই চেষ্টা করা উচিত এর ফলে যেমন একদিকে মানুষের কাজে মন লাগার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়, তেমনি ঘুম কম হওয়ার ফলে যে সকল অসুবিধাগুলো লক্ষ্য করা যায় সেইগুলিও কমে আসে। আর যদি মাঝরাতে শোয়া হয় তাহলে প্রতিনিয়ত গ্যাস কিংবা অম্বলের সমস্যায় ভোগার আশঙ্কা থেকে যায়।

আর এইসব সমস্যা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে প্রতিনিয়ত নিয়ম করে যোগ ব্যায়াম করুন খাবার দাবারের প্রতি যত্ন নিন, খাবারে শাকসবজি এবং ফলের সংখ্যা বাড়িয়ে দিন। যেমন- ব্রাউন রাইস, বিন্স, ডাল ইত্যাদি।

Leave a Comment